গত ৬ই এপ্রিল আসাম বিধানসভায় মাদ্রাসা প্রাদেশিকীকরণ বিল পাশ হয়। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার বিরোধিতা করলেন সময়ের শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একটি ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার কেন মাদ্রাসা চালাতে টাকা দেবে? কারণ তা সংবিধানবিরোধী। তিনি আসামে মাদ্রাসা শিক্ষার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে পূর্বের কংগ্রেস সরকারকে দোষ দিয়ে বলেন যে “কংগ্রেসের আমলেই এইসব হয়েছে। কি সৌদি আরবে তো অসমীয়া পোড়ানো হয় না, তাহলে আসামে কেন আরবি পড়ানো হবে ?” আর এই মন্তব্যে তোলপাড় পড়ে যায় আসামে। বিকেলে সাংবাদিকদেরকে কংগ্রেস নেতা রাকিবুল হোসেন বলেন যে আসামে ইংরেজি পড়ানো হয়, কিন্তু ইংল্যান্ডে তো অসমীয়া পড়ানো হয় না। তার জবাবে পরেরদিন হিমন্ত বিশ্বশর্মা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে,”ইংরেজি সংবিধান স্বীকৃত ভাষা,তাই পড়ানো হয়। কিন্তু আরবি সংবিধান স্বীকৃত ভাষা নয়”। এছাড়া বদরুদ্দীন আজমল হিমন্ত বিশ্বশর্মার এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। তবে হিমন্ত বিশ্বশর্মা আসামের শিক্ষামন্ত্রী হবার পর থেকেই মাদ্রাসার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ এনেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো শক্রবারের ছুটির বদলে মাদ্রসায় রবিবার ছুটি চালু করা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬-র ডিসেম্বর মাসে আসামে হিন্দু সংহতির কাজ শুরু হয়। ২রা ডিসেম্বর শিলচরে প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানে এই একই প্রশ্ন তুলেছিলেন সংহতির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী তপন ঘোষ মহাশয়। আসাম সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সংহতি সভাপতি শ্রী দেবতনু ভট্টাচার্য্য বলেন, “এই কাজগুলো করার জন্যই দেশভক্ত ভারতীয়রা বিজেপি-কে ভোট দিয়েছে। এখন জনসংখ্য়া নিয়ন্ত্রণের জন্য আসাম সরকার তথা কেন্দ্র সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”