গত ২রা এপ্রিল আসামের মুসলিমদের একটি সংগঠন কাছাড় বনধ-এর ডাক দেয়। কিন্তু স্থানীয় হিন্দু জনগণের বাধায় সেই বনধ সফল হয়নি। তারপর থেকে শিলচর কালীবাড়ি এলাকায় একটু উত্তেজনা ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। উস্কানি আসছিলো মুসলিমদের তরফ থেকেই। অভিযোগ, শিলচরের কালীবাড়ি এলাকায় পাশের মধুরবন্দ এলাকা, যা কিনা মুসলিম অধ্যুষিত সেখান থেকে পাথর ছোঁড়া হতো। এতে স্থানীয় হিন্দুরা অনেকেই প্রতিবাদ জানান। কিন্তু গত ৮এ এপ্রিল, শনিবার রাত্রি প্রায় ১০টা নাগাদ মধুরবন্দ এবং তার পাশের চামড়াগুদাম এলাকা থেকে কয়েকশো মুসলমান লাঠি, দা ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে হিন্দুদের ওপর। এমনকি হিন্দুদের লক্ষ্য করে প্রচুর পাথর ছোঁড়া হয়। এই আক্রমণে অনেক হিন্দুর মাথা ফাটে। অনেকে দা-এর আঘাতে জখম হয়। কিন্তু প্রথমের দিকে হিন্দুরা পিছু হঠলেও পরে হিন্দুরা প্রতিরোধ করে। হিন্দুরা একজোট হয়ে মুসলিমদের মারধর করতে থাকে। হিন্দুদের মারে মুসলিমরা তাদের এলাকায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন হিন্দুরা মুসলিমদের তাড়া করে মধুরবন্দ এলাকায় গিয়ে ব্যাপক মারধর করে। পাশাপাশি অনেকগুলি মুসলিম বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় হিন্দু জনতা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে চলে আসে। বর্তমানে উত্তেজনা থাকায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পুলিশ কালীবাড়ি থেকে ২জন হিন্দু এবং রাঙ্গিরখাঁড়ি থেকে ২ জন হিন্দুকে গ্রেপ্তার করেছে।
শিলচরের কালীবাড়ি এলাকায় হিন্দুদের ওপর জেহাদী আক্রমণ, শক্ত প্রতিরোধ হিন্দুদের
