ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত নিশ্চিন্তপুর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডে। মৃত কিশোরীর নাম সুমিতা লেট। তাকে অপহরণ করে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা ধানু লেট (পেশায় রিকশা চালক) ও মা সন্তোষী লেট। প্রসঙ্গত, এই পরিবারটি তফশিলি জাতিভুক্ত।
চলতি বছরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল সুমিতার । সেই মতো চলছিল প্রস্তুতি। কিন্তু চলতি বছরের ১৪ই ফেব্রূয়ারি , বুধবার, সুমিতাকে রামপুরহাট পুরসভার ২নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা পাড়ার বাসিন্দা শেখ ঝনটু প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ জানানো হলেও দীর্ঘদিন সুমিতার কোনও খবর পায়নি রামপুরহাটের লেট পরিবার। গত ১লা এপ্রিল, শনিবার সিউড়ি হাসপাতাল থেকে সুমিতার মৃত্যুর খবর আসে। হাসপাতালে গিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ধানু লেটের। সেখানে জানতে পারে গত ১৫ ই মার্চ, বৃহস্পতিবার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সুমিতাকে । ওই হাসপাতালেই শনিবার মৃত্যু হয় তার।
উল্লেখযোগ্য বিষয় সুমিতা লেটকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন সায়রা বানু নাম দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, আর শেখ ঝনটু নিজের নাম গোপন করে নিজের নাম মনটু শেখ বলে এবং ঝাড়খন্ডের ঠিকানা দেয়।এখনো অবধি ঝনটু শেখের কোনো নাগাল পায়নি পুলিস।