নির্মল বাংলা প্রকল্পে হিন্দু গ্রামে কর্মরত মুসলিমদের দ্বারা লাভ জেহাদের ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। এবার বোলপুরের ছায়া মল্লারপুরে। নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচালয় বানাতে আসা শেখ নূরের খপ্পরে পরে আবারও এক নাবালিকা হিন্দু লাভ জিহাদের শিকার।
ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের মাল্লারপুর থানার অন্তর্গত ঝিকড্ডা পঞ্চায়েতের রাওতারা গ্রামে। নির্মল বাংলা প্রকল্পে বাথরুম তৈরির কাজ করতে আসে নদীয়া থেকে শেখ নূর, সেই মতো আশপাশের চারটে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে বাথরুম তৈরির সুযোগ নিয়ে রাউতারা গ্রামের যোগেশ মন্ডলের বাড়িতেও শৌচালয়ের কাজ শুরু করে। কাজ করতে করতে যোগেশ মন্ডল (নাম পরিবর্তিত) -এর ১৭ বছরের মেয়ে গত বছরের মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী বৃষ্টি মন্ডল (নাম পরিবর্তিত) -এর সাথে পরিচয় হয়। শেখ নূর বৃষ্টিকে তার নাম রাজেশ মন্ডল বলে মিথ্যা পরিচয় দেয় এবং তার জাল আধার কার্ড তৈরী করে বৃষ্টিকে দেখায়। আস্তে আস্তে বৃষ্টিকে প্রেমের জালে ফাঁসায় শেখ নূর। এর পর বৃষ্টিকে প্রলোভন দেখিয়ে মার্চ মাসে 7 তারিখে রাওতারা থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
তারপর বৃষ্টির পরিবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। পরে বৃষ্টি বাড়িতে ফোন করলে বৃষ্টির পরিবার সব মেনে নেবেন বলে আশ্বাস দিয়ে বৃষ্টিকে ও রাজেশ মন্ডল (শেখ নূর) কে বাড়িতে ফিরতে বলেন। বৃষ্টি ও শেখ নূর বাড়ি ফিরলে বৃষ্টির কাছে বৃষ্টির পরিবার রাজেশ মন্ডলের আসল চেহারা তুলে ধরে এবং শেখ নূরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী এখন শেখ নূর জেল হেফাজতে আছে।
রাউতারা ও তার আশপাশের চারটে গ্রামে যতজন রাজমিস্ত্রী বাথরুম তৈরী করতে এসেছিল, তারা সবাই মুসলিম ছিল। রাউতারা গ্রামের সোনাই তলায় তারা তাদের কাজের সরঞ্জাম নিয়ে ডেরা বেঁধেছিল, এখন আগের সবাই সরিয়ে দিয়ে বাথরুম তৈরির কাজে নতুন লোক নিযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নির্মল বাংলা প্রকল্পে বাথরুম বানাতে আসা লাভজেহাদী শেখ হাফিজুল এর জন্য প্রাণ দিতে হয়েছিল অনিমা সরকারকে।