গতকাল রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের বচসা ও সংঘর্ষ মেটাতে গিয়ে বোমার আঘাতে ডান হাত গুরুতরভাবে জখম হল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি(সদর) অরিন্দম দত্তরায়চৌধুরীর। ইঁটের ঘায়ে এসিপি(সেন্ট্রাল) অজয় চট্টোপাধ্যায়ের পায়ে ও রানিগঞ্জ থানার ওসির মাথায় চোট লেগেছে। তিন পুলিশকর্মীর মাথা ফেটেছে. খবর চাউর হতেই শহরের সব দোকান ও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়. পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি এখন থমথমে। ঘটনার সূত্রপাত এ দিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ হিলবস্তি থেকে একটি ডিজে সহ শোভাযাত্রা বের হয়। একটি বিশেষ গান বাজানোকে কেন্দ্র করে রাজার বাঁধ মোড়ে বেশকিছু মুসলমান যুবকের সঙ্গে শোভাযাত্রায় সামিল যুবকদের প্রথমে বচসা ও পড়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়। জানা গেছে গানটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথমে ইঁট ছোড়ে স্থানীয় মুসলমান যুবকরা। তারপর উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি বাড়িতে আগুন দেওয়াকে কেন্দ্র করে রানিগঞ্জে উত্তেজনা ছড়িয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে এক পুলিশকর্মীর মাথা ফাটে। অল্প সময়ের মধ্যে শহরজুড়ে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রানিগঞ্জ বড়বাজার, কলেজপাড়া, মারোয়ারি পট্টি, শিবমন্দির রোড, তারবাংলা ও হাটতলায় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগে সামিল হয় দু পক্ষ। এভাবে প্রায় চল্লিশটি দোকানে তান্ডব চলে. হামলা চালানো হয় বন্ধ দোকানেও. এরই মধ্যে রাজারবাধে হামলা ঠেকাতে গিয়ে বোমার আঘাতে ডিসি(সদর)এর হাত গুরুতর জখম হয়। সাহেববাধ মোড়ের কাছে এসিপি(সেন্ট্রাল) অজয় চট্টোপাধ্যায়ের বাঁ পা ও ওসির মাথা ফেটে যায়। এদিন খবর পেয়ে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি ঘটনাস্থলে গিয়ে দু গোষ্ঠীর কাছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন। শান্তিবজায় রাখার আবেদন করেছেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও। এ দিন বিকেল চারটে নাগাদ পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মীনা, জেলাশাসক, মহকুমাশাসককে সঙ্গে নিয়ে শহরের উত্তেজনা প্রবণ এলাকাগুলো পরিদশন করেন। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র রাণীগঞ্জ, মৃত ১, গুরুতর আহত পুলিশ আধিকারিক
