বাংলাদেশি জলদস্যুদের সঙ্গে পুলিসের দীর্ঘ গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হল সুন্দরবনের পিরখালি জঙ্গল।গতকাল ২৪শে মার্চ, শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। অন্ধকার খাঁড়ির মধ্যে দাঁড় করানো জলদস্যুদের ভুটভুটি থেকে পুলিসকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়া হয়। পাল্টা গুলির জবাব দেয় পুলিস। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর ভুটভুটি থেকে লাফ মেরে বাংলাদেশি জলদস্যুরা জঙ্গলে ঘাপটি মেরে থাকে। কিন্তু, তাদের ধাওয়া করে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে পুলিস। শেষ পর্যন্ত ওই চার জলদস্যু হাবিবুর ঢালি, হাবিবুল্লা বাহার, সাহেব আলি গাজি ও মহম্মদ বিলাল হোসেন আত্মসমর্পণ করে। বাকি আরও চারজনের খোঁজ চলছে। ধৃতদের প্রথম তিনজনের বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও চতুর্থজনের বাড়ি খুলনা জেলায়।
জেলা পুলিসের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ধৃতরা সকলে বাংলাদেশের কুখ্যাত দস্যু ‘জনাব গোষ্ঠী’র সদস্য। তবে তাদের সঙ্গে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। কারণ, এখন ভারত-বাংলাদেশ সীমানায় আধা সামরিক বাহিনীর কড়া নজরদারি রয়েছে। তা টপকে সুন্দরবনে ঢুকে পড়ার মতো তালিম একমাত্র জঙ্গি দলের সদস্যদেরই রয়েছে। জলদস্যুদের কাছ থেকে একটি ভুটভুটি ছাড়াও বড় ও ছোট মিলিয়ে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।