পুলিশ সুত্রে খবর, ঘরের দরজা বন্ধ করে পষ্ণম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ওই তিনজন মুসলিম যুবক। এরপর অচৈতন্য হয়ে পড়া মেয়েটির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। এলাকার লোকজন ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে ছুটে আসেন। বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় অগ্নিদগ্ধ মেয়েটিকে।
আগুনে ততক্ষণে ওই ছাত্রীর শরীরের ৯০ শতাংশই ঝলসে গিয়েছিল। হাসপাতালে যেতে যেতেই ছাত্রীটি বাড়ির লোককে ও পুলিশকে ধর্ষণের অভিযোগ করে। ঘটনার পিছনে থাকা তার স্কুলে দুই সিনিয়র ছাত্র এবং এলাকার তরুণ জাকির হোসেনের নাম বলে দেয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায় নি পঞ্চম শ্রেণির ওই ছোট্ট ফুলের মতো মেয়েটিকে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আজ সকালে অসমের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটে গুয়াহাটি থেকে ১২২ কিলোমিটার দূরে নগাঁও জেলার লালন গাঁও-এ। অভিযুক্ত দুই নাবালক মুসলিম ছাত্রকে গ্রেফতারের পর তাদের জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, মূল অভিযুক্ত জাকির হুসেন এখনও নিখোঁজ।
নগাঁও-এর পুলিশ সুপার শঙ্কর রাইমেধি জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালে ওই ছাত্রীকে দেখতে গিয়েছিলাম। যন্ত্রণায় রীতিমতো কাতরাচ্ছিল সে। কথা বলতেও কষ্ঠ হচ্ছিল।’ তবে, ওই বালিকা মৃত্যুর আগে যে বয়ান দিয়ে গিয়েছে তা রেকর্ড করে রাখা হয়েছিল। আর তার ভিত্তিতেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।