গত ১১ ই মার্চ আসামের করিমগঞ্জ শহর থেকে এক হিন্দু কলেজ ছাত্রীকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। ওই ছাত্রীটির বাড়ি করিমগঞ্জের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বটরশি গ্রামে।ওই ছাত্রীটি স্থানীয় রবীন্দ্রসদন কলেজের স্নাতকস্তরের তৃতীয় বর্ষে পড়াশুনা করত। মেয়েটিকে তিন দিন আগে তার সহপাঠী বান্ধবীর সহযোগিতায় অতি কৌশলে তিনজন মুসলিম যুবক একটি গাড়িতে করে নিয়ে যায়। মেয়েটি অপহরণের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে চিৎকারও করেছিল। এরপরেই মেয়েটির বান্ধবীকে পুলিশ ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এই ঘটনার পরে স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম দুষ্কৃতি অপহৃত হিন্দু মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবকদের হুমকিও দেয়।
মেয়েটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ায় বিষয়টি যথেষ্ট উত্তেজনার সৃষ্টি করে। অপহৃত মেয়েটির পরিবারের আশঙ্কা মেয়েটিকে বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে। কোনও নারীপাচার চক্র এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ অপহরণ চক্রের একজনকে চিহ্নিত করেছে। জানা গেছে তার নাম মেহেবুব। রাজনৈতিক চাপ থাকায় পুলিশ অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করার কোন চেষ্টা করছে না বলে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ। তবে ছাত্রী অপহরণের ঘটনার পর ১০দিন পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ছাত্রীটি উদ্ধার না হওয়ায় রবীন্দ্রসদন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। তারা গতকাল করিমগঞ্জ শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং অপহৃত হিন্দু কলেজ ছাত্রীকে অবিলম্বে উদ্ধার করার দাবি জানায়। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে করিমগঞ্জ শহরের লঙ্গাই রোড থেকে দুজন কিশোরীর অপহরণ করা হয়েছিল। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।