কেরলের ‘লভ জিহাদ’ তদন্তে নয়া মোড়। তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ তদন্তে জানতে পেরেছে, সম্মোহনের মাধ্যমে মগজ ধোলাই করছে একটি ধর্মীয় সংস্থা। এই সংস্থাটি চালায় পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া(PFI)।ওই প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয় ইসলামিক শিক্ষা। বোঝানো হয় অন্য ধর্ম নিকৃষ্ট। সে কথা তাদের ওয়েবসাইটে পরিষ্কারভাবে লেখাও রয়েছে। এনআইএ তদন্তে উঠে এসেছে যে সত্যসারিনি নামে একটি সংস্থা ইসলামিক শিক্ষা দেয়। সেখানে উপ-সচেতন মনে সম্মোহনের দ্বারা পড়ুয়াদের প্রভাবিত করেন শিক্ষকরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘লভ জিহাদে’র তদন্ত করছে এনআইএ। ১১টি জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগের মধ্যে ৯টি ঘটনাতেই যোগ রয়েছে সত্যসারিনি বা মার্কাজ হিদায়া দাওয়ার। এনআইএ-র তদন্তে দাবি, যাঁদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে অথবা ধর্মান্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে, এমন ব্যক্তিদের ওই প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছে পিএফআই। সেখানে ২ মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এনআইএ আরও জানতে পেরেছে, বিভিন্ন পন্থা ব্যবহার করে সত্যসারিনিতে পাঠাচ্ছে পিএফআই। এরপর তাদের নিবিড় পরামর্শ, সম্মোহন এমনকি ভিডিও দেখিয়ে ধর্মান্তরণে প্রভাবিত করা হচ্ছে। ল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে হাদিয়ার বিবাহ বৈধ বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হাদিয়ার মা-বাবার অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।হাদিয়াকে সন্ত্রাসের কাজে লাগাতে চায় তারা। সুুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য পিএফআই-কে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন হাদিয়া। দাবি করেছিলেন, স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরণ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, পিএফআই-এর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই পিএফআই-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিম যুবকদেরকে সিরিয়া,ইরাকে ইসলামিক স্টেটে যোগ দেবার জন্যে পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে।
কেরালায় সম্মোহন করে লাভ-জিহাদ করছে PFI, এনআইএ তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
