গাড়ির সামনে লাগানো ছিল পুলিসের জাল স্টিকার। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। কলকাতায় জাল নোট ছড়াতে এসে এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হল জাল নোটের দুই কারবারি। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট। ধৃতরা দু’জনেই মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এই নোট প্রথম মালদহে নিয়ে আসা হয়। তারপর গাড়ি ভর্তি নোট কলকাতায় আনা হয়েছিল। এই নকল নোট এখানে কাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে। পাশপাশি তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখার কাজ চলছে।
ধৃত দুই জাল নোটের কারবারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউ মার্কেট থানা এলাকায় আসে। সেখানকার একটি দোকান থেকে কিছু জিনিসপত্র কেনাকাটা করে। এরপর বিল মেটাতে নগদ দু’হাজার টাকার নোট দেয় তারা।। কিন্তু নোটগুলি দেখে সন্দেহ হওয়ায়, দোকান মালিক তাদের বসিয়ে রেখে নিউ মার্কেট থানায় খবর দেন। অফিসাররা এসে তাদের আটক করে নিয়ে যান। জাল নোটের বিষয় হওয়ায় পুলিসের তরফে বিষয়টি জানানো হয় এসটিএফকে। তাদের অফিসাররা এসে নোটগুলি দেখেই বুঝতে পারেন, সব জাল। এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট।
কীভাবে তারা জাল নোট ছড়াচ্ছিল? তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জন সম্পর্কে আত্মীয়। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করে। তার সুবাদে এ রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত রয়েছে। এই কাজের আড়ালে তারা জাল নোট পাচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। বাংলাদেশের জাল নোট কারবারিরা রাজমিস্ত্রিদের টার্গেট করেছে জাল নোট পাচারের জন্য। কয়েকবছর আগে ওপার বাংলার জাল নোটের কারবারে যুক্ত এক শীর্ষ নেতার নজরে আসে ওই দু’জন। মালদহে জাল নোট পাচারের সঙ্গে জড়িত এক বড় মাপের কারবারির মাধ্যমে তাদের সঙ্গে সীমান্তের ওপারের ওই কারবারির পরিচয় হয়। জাল নোট ছড়াতে পারলে ভালো টাকার কমিশন দেওয়া হবে বলে তাদের লোভ দেখানো হয়। এরপরই ধৃতরা এই ব্যবসায় নেমে পড়ে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকবার তারা জাল নোট এ রাজ্যে নিয়ে এসেছে। তা ছড়িয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে নোট পৌঁছনোর ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলে বদলে এনেছিল তারা। রেলপথে পুলিসের নজরদারি এড়াতে তারা গাড়িতে করেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জাল নোট নিয়ে যেত। রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিস কর্মীরা যাতে তাদের গাড়ি না আটকান, সেজন্য লাগানো হয়েছিল পুলিসের জাল স্টিকার। ছোট গাড়িতে করেই বিভিন্ন এজেন্টের কাছে মোটা অঙ্কের জাল নোট তারা পৌঁছে দিয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য রাজ্যেও তারা নোট পাচার করেছে বলে খবর। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে তারা বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছে জাল নোট। তা পৌঁছে দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে জাল নোট কারবারে জড়িত এজেন্টদের হাতে। এমনকী বাইরের কিছু রাজ্যে তারা নির্মাণ কাজের বরাত পেয়েছে। সেখানে যে সমস্ত রাজমিস্ত্রি কাজ করত, তাদের পেমেন্টের একটা বড় অংশ ধৃতরা জাল নোটে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে যে কারবারির সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে, তার নাম ধৃতদের জেরা করে উঠে এসেছে। এ রাজ্যে কারা কারা তার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
ধৃত দুই জাল নোটের কারবারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউ মার্কেট থানা এলাকায় আসে। সেখানকার একটি দোকান থেকে কিছু জিনিসপত্র কেনাকাটা করে। এরপর বিল মেটাতে নগদ দু’হাজার টাকার নোট দেয় তারা।। কিন্তু নোটগুলি দেখে সন্দেহ হওয়ায়, দোকান মালিক তাদের বসিয়ে রেখে নিউ মার্কেট থানায় খবর দেন। অফিসাররা এসে তাদের আটক করে নিয়ে যান। জাল নোটের বিষয় হওয়ায় পুলিসের তরফে বিষয়টি জানানো হয় এসটিএফকে। তাদের অফিসাররা এসে নোটগুলি দেখেই বুঝতে পারেন, সব জাল। এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট।
কীভাবে তারা জাল নোট ছড়াচ্ছিল? তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জন সম্পর্কে আত্মীয়। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করে। তার সুবাদে এ রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত রয়েছে। এই কাজের আড়ালে তারা জাল নোট পাচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। বাংলাদেশের জাল নোট কারবারিরা রাজমিস্ত্রিদের টার্গেট করেছে জাল নোট পাচারের জন্য। কয়েকবছর আগে ওপার বাংলার জাল নোটের কারবারে যুক্ত এক শীর্ষ নেতার নজরে আসে ওই দু’জন। মালদহে জাল নোট পাচারের সঙ্গে জড়িত এক বড় মাপের কারবারির মাধ্যমে তাদের সঙ্গে সীমান্তের ওপারের ওই কারবারির পরিচয় হয়। জাল নোট ছড়াতে পারলে ভালো টাকার কমিশন দেওয়া হবে বলে তাদের লোভ দেখানো হয়। এরপরই ধৃতরা এই ব্যবসায় নেমে পড়ে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকবার তারা জাল নোট এ রাজ্যে নিয়ে এসেছে। তা ছড়িয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে নোট পৌঁছনোর ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলে বদলে এনেছিল তারা। রেলপথে পুলিসের নজরদারি এড়াতে তারা গাড়িতে করেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জাল নোট নিয়ে যেত। রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিস কর্মীরা যাতে তাদের গাড়ি না আটকান, সেজন্য লাগানো হয়েছিল পুলিসের জাল স্টিকার। ছোট গাড়িতে করেই বিভিন্ন এজেন্টের কাছে মোটা অঙ্কের জাল নোট তারা পৌঁছে দিয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য রাজ্যেও তারা নোট পাচার করেছে বলে খবর। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে তারা বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছে জাল নোট। তা পৌঁছে দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে জাল নোট কারবারে জড়িত এজেন্টদের হাতে। এমনকী বাইরের কিছু রাজ্যে তারা নির্মাণ কাজের বরাত পেয়েছে। সেখানে যে সমস্ত রাজমিস্ত্রি কাজ করত, তাদের পেমেন্টের একটা বড় অংশ ধৃতরা জাল নোটে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে যে কারবারির সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে, তার নাম ধৃতদের জেরা করে উঠে এসেছে। এ রাজ্যে কারা কারা তার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
Attachments area