গত ১২ই মার্চ, সোমবার বিকেলে আসামের শিলচরের দুর্গাপল্লীর হিন্দু সংহতির একনিষ্ঠ কর্মী লতু দাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় একদল মুসলিম জনতা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে লতু দাসের সঙ্গে স্থানীয় মুসলিম সলমন মিয়াঁর পুরোনো বিবাদ ছিল। আর তার সুযোগ নিয়ে সলমন একদল মুসলিমকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার বিকেলে হঠাৎ করে লতু দাসের বাড়িতে আক্রমণ করে। এই অতর্কিত আক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা লতুবাবুর ছিল না। মুসলিমরা তার বাড়ির চারপাশে থাকা টিনের দেওয়াল ভেঙে দেয় এবং বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে ফেলে দেয়। ঘটনার খবর আশেপাশে হিন্দু সংহতির কর্মীদের কাছে পৌঁছে যায়। তারা দলবেঁধে ছুটে আসেন লতু দাসের বাড়িতে। ফলে হিন্দু-মুসলিম দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। দুই পক্ষ লাঠি নিয়ে একে ওপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ইঁট ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। তাতে তিনজন হিন্দু এবং পাঁচজন মুসলমান আহত হয়। পরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ আসে এবং লতু দাস এবং সলমন মিয়াঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। পরের দিন অর্থাৎ ১৩ই মার্চ পুলিশ দুজনকে কোর্টে তুললে বিচারক দুজনকে সাতদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আসামের শিলচরের হিন্দু সংহতি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর,পাল্টা প্রতিক্রিয়া কর্মীদের
