WBJEE একটি নজিরবিহীন ঘটনার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন। ২০১৬ সালের জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় 4000 ছাত্রের মধ্যে ৬১৮ জন একটি মুসলিম স্টাডি সার্কেলের, নাম আল আমিন মিশন স্টাডি সার্কেল, যা আল আমিন মিশন নামে একটি মুসলিম প্রতিষ্ঠানের শাখা। মোট মুসলিম ছাত্র ছাত্রী পাশ করেছে ১১৩৬ জন। ২৮.৩৫% মুসলিম ছাত্র ছাত্রী মেডিকেল এন্ট্রাস পাশ করেছে, যা একটি রেকর্ড ও সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে যে মুসলিম ছাত্রদের মেডিকেল পাওয়া কি অপরাধ?? না অবশ্যই সেটা কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু দুর্নীতির সাহায্য নিয়ে অন্যায় ভাবে সুযোগ করিয়ে দেওয়া অপরাধ। বেশ কিছু সন্দেহজনক কাজ তারা করেছে যা এখন বিচারাধীন।
মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় জালিয়াতি? মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
অবশেষে মামলা হলো মেডিকেল পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিয়ে ! মোট মেধা তালিকায় ৪০০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জনই আল-আমিন মিশনের ! এবং আরও মজাদার বিষয় এই মিশন থেকে পরীক্ষার্থীরা মোট ৬ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসে এবং সেই ৬ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া ১০০% পরীক্ষার্থীই মেধা তালিকায় স্থান পায় !
এই আল আমিন মিশনের মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষার সেন্টার হয় ১. সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইন্স্টিটিউশন (Center Code 579312), ২. বজবজ ইন্স্টিটিউট অফ টেকনোলজি ( Center Code 589111), ৩. ডোমজুড় নেহেরু বালিকা বিদ্যালয় ( Center Code 579512), ৪. উলুবেড়িয়া ওম দয়াল ইন্স্টিটিউট ( Center Code 579112), ৫. কলকাতা মিত্র ইন্স্টিটিউট ও একটি পরীক্ষা কেন্দ্র যার Center Code 579113। এই সব কেন্দ্রে সফলতার হার অস্বাভাবিক , ৯০% এরো বেশি।
উপরের ওই ছয়টি কেন্দ্র থেকে মোট সফল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৬০ জন যার মধ্যে সফল মুসলিম পরীক্ষার্থী ৬৯২ অর্থাৎ ৯১% সফল পরীক্ষার্থী মুসলিম।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ তে রেজাল্ট বেরোবার পর অনেক পরীক্ষার্থী তাদের ফলাফলে খুশি না হয়ে স্কোর জানানোর জন্য আবেদন করতে থাকে। স্কোর না জানিয়ে জয়েন্ট এন্ট্রাস দপ্তর উত্তর পত্র প্রকাশ করে তাদের ওয়েব সাইটে। অসংখ্য পরীক্ষার্থীর Ranking ও Score না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়। ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ হাইকোর্টের নির্দেশে বিস্তারিত রেজাল্ট প্রকাশ করার পরেও মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ওয়েব সাইট থেকে তুলে দেওয়া হয়। এরপর মানুষের সন্দেহ আরো দৃঢ় হয়ে যায়।
এই সংখ্যক মুসলিম পরীক্ষার্থীর মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া মুসলিম জনসংখ্যা ও তাদের স্বাক্ষরতার হার অনুযায়ী অস্বাভাবিক। পশ্চিম বঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা ২৭.০১% ও শিক্ষিতের হার মাত্র ২৩.৪২%, ২০১১ এর জনগণনার হিসাব অনুযায়ী। ২০০১ সালের জনগণনার হিসাব অনুযায়ী সাচার কমিটির রিপোর্টে বলা হয় মাত্র ৫০% মুসলিম জনসংখ্যা স্কুলে যায়। তার মধ্যে ২৬% ক্লাস ৪ পর্যন্ত যায়, ১২% মাধ্যমিক পাশ করে। কাজেই পশ্চিম বঙ্গের মেডিকেলের সাফল্য এক অবাস্তব ঘটনা।
নিয়ম না মানার অভিযোগ আছে অনেক। যেমন এক যমজ পরীক্ষার্থী যাদের জন্ম তারিখ ১২.০৮.১৯৯৩, সিট পড়ে সেন্টার কোড 485211, তারা পাশাপাশি বসে পরীক্ষা দেয়। একজনের Ranking ৫৭৫ স্কোর ১৯০.১৭ এবং অন্য জনের Ranking ৯৪৭ ও স্কোর ১৮৭.০৯। দুজনেই সফল।
CBI নিয়োগের জন্যও আবেদন করা হয়েছে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে।