একটি সিঙাড়া। খেতে হলে ধর্ম ছাড়তে হবে। এই হচ্ছে শর্ত। কোনও গল্প নয়। এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। অভিযোগ, যোগীর রাজ্যে বস্তিবাসীদের সিঙাড়ার টোপ দিয়ে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করতে বলছেন যাজকরা। এহেন ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছে আগ্রার জগদীশপুরা কলোনির পাশের একটি বস্তি থেকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুক্রবার ওই অঞ্চলে আসেন এক খ্রিস্টান ধর্মগুরু। সবাইকে সিঙারা খেতে দেন তিনি। তিনি বলেন, তাঁদের ভাল খাবার দেওয়া হবে। বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ বহন করা হবে। এমনকি থাকার জন্য ঘরের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে। শর্ত একটাই নিজের ধর্ম ছেড়ে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করতে হবে। মায়া নামের এক মহিলা জানান, ওই সিঙারা খাওয়ার পরই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাঁর মেয়ে-সহ অনেকেই। ওই সময় সেখানে থাকা এক ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে এগিয়ে আসেন। তাঁর প্রতিবাদে সেখান থেকে পালয়ে যান ওই ধর্ম প্রচারক। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আগ্রার পুলিশ সুপার জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তিনি জানান, একটি সংগঠনের তরফ থকে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এনিয়ে অভিযুক্ত মিশনারিদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তদের দাবি নারী দিবসে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের কোনও চেষ্টা তাঁরা করেননি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। আসরে নেমেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। সমাজকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও মিশনারিদের বিরুদ্ধে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ রয়েছে। সমাজবাদী আমলে ভোটব্যাংকের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামায়নি সরকার।