মালদহের মহদিপুর সীমান্তে বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য আসা ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়া হল। গতকাল ২৮শে ফেব্রূয়ারি, বুধবার ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত অন্তত ছয়টি গাড়ি দুষ্কৃতীরা পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে এদিন ওই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন দুপুরে পুলিসের বড় একটি দল ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়েছিল। তবে গোটা ঘটনায় পুলিসের দিকেই গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। ওই এলাকায় কিছুদিন আগেই একাধিক গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, ওখানে বেশকিছু অবৈধ পার্কিং আছে। সেগুলির নিয়ন্ত্রকরাই কোন গাড়ি বর্হিবাণিজ্যের জন্য আগে বা পরে যাবে তা বিপুল অর্থের বিনিময়ে স্থির করে দেয়। আর এনিয়েই গোষ্ঠীবিবাদের জেরে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। প্রসঙ্গত, সদ্য মুখ্যমন্ত্রী মালদহ সফরে এসে মহদিপুরে নাকা চেকিং সহ একাধিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রথমে দু’টি লরি পণ্য সহ দুষ্কৃতীরা পুড়িয়ে দেয়। তারপর দুপুরে আরও দু’টি ও সন্ধ্যার আগে আরও দু’টি লরি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দুপুরে ইংলিশবাজার পুরসভার বিরাট বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় একটি পার্কিংলটের কর্তৃপক্ষ এনিয়ে ইংলিশবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে বারবার এধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সঙ্গে বর্হিবাণিজ্যকারী মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। গৌড়বঙ্গের এই একমাত্র ল্যান্ড পোর্ট দিয়ে বছরে ২৫০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আসে। ফলে নিরাপত্তার প্রশ্নে বর্হিবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলে বড় সংকট তৈরি হবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
ইংলিশবাজার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। আগেই লাগাতার অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দুষ্কৃতীকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে বর্হিবাণিজ্য করে আসছেন এরকম একাংশ ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত ওই এলাকা একজন বিশেষ ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে ছিল। সম্প্রতি তিনি প্রয়াত হওয়ার পর এলাকার নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে একাধিক গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলির নিজেদের লড়াইয়ের জেরেই বর্হিবাণিজ্যকারীদের নিরাপত্তাহীনতার মুখে এসে দাঁড়াতে হয়েছে।