গত ২২শে ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার অন্তর্গত সাবড়া রণডাঙ্গা বাসন্তী পূজার জন্য ৩-৪ জন কিশোর খাকুড়দা মোহনপুর রাস্তায় পুজোর জন্যে সাহায্য সংগ্রহ করছিলো। যে যার সামর্থ্য মতো অর্থ সাহায্য করছিলো, কোনো রকম জোর ছিলনা। হঠাৎ মোহনপুরের দিক থেকে একটি ইঞ্জিন ভ্যান আসে। তাকে দাঁড় করিয়ে পুজোর জন্যে অর্থ সাহায্য করার কথা বলতেই তারা দেব না বলে তর্কাতর্কি শুরু করে। ভ্যানের উপরে ৩-৪ জন মুসলমান ছেলে বসেছিল, তারা ড্রাইভারকে ওদের উপর দিয়ে ভ্যান চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তারপর ওখানের পাবলিক বলে কেউ চাঁদার জন্য জোর করেনি, তাহলে এই কথা বললে কেন? সঙ্গে সঙ্গে ওদের একজন পাশের মুসলিম বস্তিতে ফোন করে বলে যে, আমার ইঞ্জিন ভ্যানের থেকে বরের জিনিসপত্র সোনাদান সব লুট করে নিয়েছে। প্রায় সন্ধ্যে ৫টা ৩০এর সময় ঘটনাটি ঘটে। তার প্রায় দু’ঘন্টা বাদে পাশের খন্ডরুই, আঁতলা, সাবড়া বস্তি থেকে ২০০-২৫০ মুসলমান এসে বেলদা থানার পুলিশের সামনে “হিন্দু হটাও” শ্লোগান দিতে দিতে মারধর ও ভাঙচুর শুরু করে। বিশ্বজিৎ গুচ্ছাইতকে সামনে পেয়ে লাঠি রড দিয়ে প্রচুর মারধর শুরু করে। তাতে বিশ্বজিৎ এর মাথা ফেটে যায়। সুজয় বেরার চা-পানের দোকান, গোপাল জানার মুদী দোকান ভাঙচুর করে। কিছুক্ষণ পরে দাঁতন থানার আইসি ও মোহোনপুর থানার পুলিশের সহযোগে ঝামেলা বন্ধ হয়। কিন্তু পুলিশ আক্রান্ত হিন্দুদের পাশে না দাঁড়িয়ে অজ্ঞাত কারণে আক্রমণকারী মুসলমানদের পক্ষ নেয়। ঐদিন পুলিশ স্থানীয় হিন্দুদের নামে থানায় কেস দায়ের করে। সন্ধ্যায় পুলিশ ঋষি দাস নামে এক হিন্দুকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে কোর্ট থেকে জামিনে গত ২৪শে ফেব্রুয়ারী ছাড়া পায়। এখনও সুব্রত গুচ্ছাইত, সঞ্জীব মাইতিদের নামে কেস আছে। গতকাল ২৫শে ফেব্রুয়ারী, রবিবার হিন্দু সংহতির এক প্রতিনিধিদল হিন্দু সংহতির সহ-সম্পাদক শ্রী সৌরভ শাসমলের নেতৃত্বে আক্রান্ত ও অত্যাচারিত হিন্দুদের সঙ্গে দেখা করে। স্থানীয় হিন্দুরা তাদের ওপর ঘটে যাওয়া অত্যাচারের কথা প্রতিনিধিদের সামনে বলেন। হিন্দু সংহতির পক্ষ থেকে আক্রান্ত হিন্দুদেরকে সম্পূর্ণ ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়।
বেলদাতে সন্তোষী পূজা কমিটির ওপর হামলা মুসলিমদের, করা হলো দোকান ভাঙচুর
