বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় এক হিন্দু তরুণীকে(২৮) অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনই স্থানীয় মুসলিম।
এ ঘটনায় গত ২৪শে ফেব্রুয়ারী, শনিবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই হিন্দু তরুণী পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ২৩শে ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার রাতে ভদ্রঘাট এলাকা থেকে ওই নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। উল্লেখ্য ওই তরুণী রাতে কীর্তন অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার ভদ্রঘাট গ্রামের মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে জসমত মণ্ডল(৩০) এবং একই এলকার মৃত রবি শেখের ছেলে মাকমুদুল শেখ(৩৫), সোহরাব আলী শেখের ছেলে আইয়ুব শেখ(২১), আব্দুস সালাম শেখের ছেলে সোহাগ শেখ(৩০) ও আবু শামা শেখের ছেলে সোহাগ শেখ(২৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধষর্ণের শিকার ওই নারী গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট এলাকা থেকে কীর্তন শুনে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পাঁচ যুবক তাকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ভদ্রঘাট এলাকার একটি জঙ্গলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
শনিবার ভোরে জঙ্গলের পাশে একটি টিনের ঘর থেকে ওই নারীকে উদ্ধার ও জসমতক নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভদ্রঘাট বাজার এলাকা থেকে আইয়ুব, সোহাগ ও মাকমুদুল নামে তিন যুবককে আটক করা হয়। শনিবার বিকালেই আটক চার আসামিকে সিরাজগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে কামারখন্দ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান জানান, শুক্রবার রাতে ভদ্রঘাট বাজার এলাকায় কয়েক যুবক এক হিন্দু নারীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জঙ্গলের দিকে নিয়ে গেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোর রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘর থেকে অপহৃত তরুণীকে উদ্ধার ও জসমত নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে জসতমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও তিনজনকে আটক করা হয়। অপর আসামি সোহাগ শেখকে আটকের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।