অসমে একটি বিশেষ দলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে কেন? বিজেপির তুলনায় ওই দলের সদস্য সংখ্যা বাড়ার প্রবণতা বেশি। এই প্রবণতা বেশ উদ্বেগজনক। এর পিছনে একটি গভীর চক্রান্ত রয়েছে। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের পিছনে রয়েছে এই চক্রান্ত। বিশেষভাবে আসামের মুসলিম জনসংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে এর ফলে। যে দলের কথা বলা হচ্ছে সেটি হল অসমের অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। যার প্রধান হলেন ধুবড়ীর মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল। সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত এই মন্তব্য করায় প্রবল শোরগোল শুরু হয়েছে। একজন সেনাপ্রধান হিসাবে এরকম মন্তব্য করা যায় কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। উল্লেখ্য ওই দলটি প্রধানত মুসলিম প্রধান দল হিসাবেই পরিচিত। আর অসমের রাজনীতিতে মুসলিম জনসংখ্যার সমর্থন এই দলটি অনেকাংশে পেয়ে থাকে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিরোধীদের বক্তব্য এরকম একটি মন্তব্য বিজেপি নেতারা করলে সেটা মেনে নেওয়া যায়। কারণ এই প্রচার কিংবা মনোভাব বিজেপির। কিন্তু সেই একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন স্বয়ং সেনাপ্রধান। তিনি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতেই পারেন। কিন্তু তার সঙ্গে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে চিহ্নিত করা সেনাপ্রধানের সঠিক আচরণ নয়। সেনাপ্রধানকে পক্ষপাতহীন হতে হয়। অন্যদিকে বিজেপি বলেছে, এই নিয়ে বিরোধীরা অযথা বিতর্ক তৈরি করছে। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ একটি বিরাট সমস্যা। সেটা সেনাপ্রধান উল্লেখ করতেই পারেন। কারণ অনুপ্রবেশের মোকাবিলা সেনা করে থাকে।
আসামের মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে রয়েছে গভীর চক্রান্ত, মন্তব্য সেনাপ্রধানের
