বাঙালি হিন্দুর মাটি বাঁচানোর লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। বাঙালি হিন্দুর সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাঙালি হিন্দুর অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। জেহাদ মুক্ত পশ্চিমবঙ্গের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সংকল্পের নাম হিন্দু সংহতি।
পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে নতুন জিহাদি সংগঠন ”জামাত -উল-মুজাহিদিন-ইন্ডিয়া”
শীর্ষনেতার নাম কওসর ওরফে বোমারু মিজান৷ সংগঠনের নতুন নাম জেএমআই৷ আপাতত এই নামেই এ রাজ্য -সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডানা মেলছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি৷ এমনকী তারা মুর্শিদাবাদের ঘাটি গেড়ে রীতিমতো মডিউল তৈরি করে ফেলেছে৷ সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের হাতে দুই জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়ার পরে জানা গিয়েছিল , বিহারের বৌদ্ধ গয়ায় কী ভাবে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল তারা৷ এ বার জানা গেল নিজেদের কাজ কতটা নিখুঁত হয়েছে , তা জানার জন্য ‘ট্রায়াল রান ’ হিসেবে ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ ২০১৪ সালের অক্টোবরে খাগড়াগড়ে তৈরি করার সময়ে হ্যান্ড গ্রেনেড ফেটে ওই সংগঠনের চার জন মারা যান৷ গোয়েন্দা সূত্রের খবর , সে সময়ে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল কওসর৷ কিন্তু ওই একটি ঘটনায় পুরো সংগঠনের গোপন কাজকর্ম প্রকাশ্যে এসে পড়ে৷ ফলে তীব্র ভাবে কথা শুনতে হতে হয় কওসর ওরফে বোমারু মিজানকে৷ একটা সময়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে সে পুরোনো সংগঠনের কাজকর্ম ছেড়ে নব্য জেএমবিতে যুক্ত হয়৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর , ওই সংগঠনের শীর্ষনেতা মেজর জিয়ার সঙ্গে কাজ শুরু করে কওসররা৷ তারা যোগাযোগ শুরু করে আইএসের এশিয়া শাখার সঙ্গে৷ দু’পক্ষের মধ্যে ঐক্য দানা বাঁধার পরে ঢাকায় জঙ্গি হানা৷ কিন্তু এর পরেই বাংলাদেশ জুড়ে ব্যাপক পুলিশ তত্পরতায় তামিম চৌধুরি এবং সালওয়ার নামে দুই নেতার মৃত্যু হয়৷ ফলে এই সংগঠনের কাজ অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে৷ এর ঠিক পরেই বর্তমান নেতা আয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় কওসরের৷ ফলে সে আবার তার পুরোনো সংগঠনে যোগ দিয়ে এ পারে পালিয়ে আসে৷ শুরু করে নতুন সংগঠন বাড়ানোর কাজ৷ গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন , গত বছরের অগস্টে জেএমবির শীর্ষনেতা সালাউদ্দিনের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে কওসরের বৈঠক হয়৷ সেই বৈঠক থেকেই নতুন জেএমআই অর্থাত্ জামাত -উল -মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল৷ সংগঠনের ভারতীয় শাখার প্রধান করা হয় বোমারু মিজানকে৷ তাকে দিয়ে মোট ২২ জনের একটি কোর গ্রুপ তৈরি করা হয়৷ যাদের তিন ভাগে ভাগ করে পাঠানো হয় চেন্নাইতে প্রশিক্ষণের জন্য৷ কিন্ত্ত চেন্নাইয়ে কেন ? গোয়েন্দা সূত্রের খবর , কলকাতা বা তার আশপাশের জেলাগুলিতে খাগড়াগড়ের ঘটনার পরে পুলিশের নজরদারি অনেকটা বেড়ে গিয়েছে৷ গত কয়েক বছরে একাধিক জেএমবি নেতা গ্রেন্তারও হয়েছে৷ ফলে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো ঝুঁকি এখানে নিতে রাজি হয়নি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই সংগঠন৷ কয়েকমাস প্রশিক্ষণের পরে নতুন যোগ দেওয়া যুবকদের পাঠানো হয় বৌদ্ধগয়ায়ে নিজেদের তৈরি করা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য৷ পুলিশ জানতে পেরেছে , ঝাড়খণ্ডে এই সংগঠনের যে শাখা রয়েছে , তারা পাকুড় থেকে সরঞ্জাম সরবরাহ করে তা পাঠিয়ে দেয় মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে৷ সেখান থেকে আইইডি তৈরি হয়ে চলে যায় বৌদ্ধ গয়ায়৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর , আপাতত সালাউদ্দিনের সংগঠনের সঙ্গে আল কায়দার এশিয়া শাখার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে৷ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের এই জঙ্গি সংগঠনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আইসিস এবং আল কায়দা দু’পক্ষই নিজেদের সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করে৷ কলকাতা পুলিশের হাতে প্রায় ছ’মাস আগে দুই আল কায়দা জঙ্গি ধরা পড়ার পরে গত সন্তাহে পয়গম্বর শেখ -সহ তিন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেন্তার করে এসটিএফ৷ তার পরেই উঠে আসে সংগঠনের নতুন কাজকর্মের হদিস৷