তরুণীর ঘরে ঢুকে জোর করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীরা যুবককে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। এক ব্যক্তি ওই যুবককে গ্রামবাসীর হাত থেকে বাঁচাতে গেলে তাকেও ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ওই যুবক সহ সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৭ই ফেব্রূয়ারি, বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার ঘাটপাকিল এলাকায়। ধৃত যুবক বাগদার বয়রা এলাকার বাসিন্দা রিপন শেখ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর বনগাঁ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিল। তরুণীর বাবা মা বাড়ি না থাকার সুযোগ নিয়ে রিপন শেখ ঘরে ঢুকে পরে। তাকে একা পেয়ে তার মুখে কাপড় বেঁধে জোর করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। মুখ থেকে কাপড় খুলে যেতেই তরুণী চিৎকার করতে থাকে। চিৎকার শুনে ছুটে আসে আশপাশের প্রতিবেশীরা। তরুণীকে ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে ওই যুবক। গ্রামবাসীরা তাড়া করে যুবককে ধরে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয় বিকাশ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি গ্রামবাসীর হাত থেকে ওই যুবকে বাঁচাতে গেলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ করে। পুলিশের সামনেই রিপন শেখ ও বিকাশ বিশ্বাসকে মারতে থাকে। বাগদা থানার পুলিশ ওই দুজনকে গ্রামবাসীর হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গ্রামবাসী বিকাশ বিশ্বাস বলেন রিপন শেখ নামে ওই যুবককে আমি চিনি না। তাকে ওই ভাবে মারতে দেখে আমি বাধা দিয়ে পুলিশকে খবর দিতে বলাতেই গ্রামবাসীরা আমার ওপর চড়াও হয়। এই ঘটনায় বাগদা থানার পুলিশ তিন মহিলা সহ ছ’জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে। এছাড়া ধর্ষণের অভিযোগে রিপন শেখকে গ্রেফতার করে। বাগদা থানার পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক রিপন শেখকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত ও বাকি গ্রামবাসীদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেপ্তার রিপন শেখ
