একের পর এক চুরিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত বুধবার রাতে শহরের বিদ্রোহী ক্লাবের মন্দিরে চুরি হয়েছে। এই ক্লাব রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের বলে পরিচিত। এই মন্দিরে সারা বছর ধরে প্রতিদিন দুর্গাপুজো হয়। বুধবার রাতে দুষ্কৃতিরা মন্দিরের পিছনের দিকের দরজার গ্রিল ভেঙে সোনার গয়না সহ প্রণামী বাক্স থেকে নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। দিন কয়েক দিন আগে শহরের দেবীনগরে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দুর্গা প্রতিমার সোনার গয়না চুরি হয়েছিল। এছাড়া শহরের আরও কয়েকটি মন্দিরে সম্প্রতি চুরি হয়েছে। পাশাপাশি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। শহরে এভাবে পরপর চুরির ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৮ই জানুয়ারী, বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্রোহী ক্লাবের মন্দিরে চুরির বিষয়টি সকলের নজরে আসে। ক্লাবের পিছনের দিকের গ্রিলের দরজার তালা ভেঙে দুষ্কৃতিরা ভিতরে ঢোকে। তারা প্রতিমার সোনা ও রুপোর গয়না, প্রণামী বাক্স থেকে নগদ টাকা সহ আরও কিছু সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয়। ১২ জানুয়ারী শহরের দেবীনগরে আলুর আড়ত থেকে স্টিলের আলমারি ভেঙে বেশকিছু সোনার গয়না ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে। এর আগে ২৮ নভেম্বর শহরের তেলিপাড়ায় রাধা গোবিন্দের মন্দিরের তালা ভেঙে দুষ্কৃতিরা বিগ্রহের রুপোর ছাতা, পিতলের সিংহাসন, প্রদীপ সহ একাধিক জিনিস নিয়ে চম্পট দেয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর দেবীনগরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে এক মোবাইল ব্যবসায়ীর হাত থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। এছাড়াও শহরের লিচুতলা মন্দির থেকে প্রতিমার গয়না চুরি হয়েছে। এসমস্ত ঘটনা ছাড়াও শহরের উকিলপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বড়সড় চুরির চেষ্টা হয়েছিল। এভাবে দুষ্কৃতিরা একের পর এক চুরি করছে। অথচ পুলিশ এখনও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ করতে পারছে না।