প্রথমে তিন তালাক বিল। আর এবার হজের ভর্তুকি রদ। সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে আবারও সাহসী নীতি নিল মোদি সরকার।হজের ভর্তুকি তোলার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি জানিয়েছেন, তোষণ ছাড়া সংখ্যালঘুদের ক্ষমতায়নের নীতির অঙ্গই হল এই সিদ্ধান্ত। মোদি সরকার স্পষ্টই জানিয়েছে, হজে ভর্তুকি দিয়ে সংখ্যালঘুদের কোনও লাভই হয়নি।
সুপ্রিম কোর্ট ২০১২ সালেই এক রায়ে জানিয়েছিল, ২০২২ সালের মধ্যেই এই ভর্তুকি তুলে দিতে হবে। কিন্তু তৎকালীন ইউপিএ সরকার সেই রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে খুব একটা সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর করতে তৎপর হয় মোদি সরকার। গত বছরের মে মাসে এই ভর্তুকি তোলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। গতকালই মোদি সরকার জানিয়েছিল, ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বের মহিলারা পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই হজ করতে যেতে পারবেন। তারপর এদিন সরকার জানিয়ে দিল, হজের ভর্তুকি তুলে দেওয়া হল। এদিন নাকভি জানান, ভর্তুকি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হল।