বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের পুরোহিত সম্মেলনের রেশ ধরেই গত ১০ই ডিসেম্বর, বুধবার দক্ষিণেশ্বরের মাটিতে হাজার বিশেক ব্রাহ্মণের জমায়েত থেকে ‘বন্দে পুরুষোত্তম’ ধ্বনি তুলে পশ্চিমবঙ্গের জমিতে হিন্দুত্বের প্রশ্নে বিজেপিকে যে জমি ছাড়া হবে না তা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিল শাসকদল৷ এ দিন রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের বকলমে তৃণমূলের এই সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত না থাকলেও, জমায়েত ও সংগঠকদের উদ্দেশ্যে তাঁর শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে৷ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সব মানুষকেই পরিষেবা দিতে জাতপাত, ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের জন্য কাজ করছেন৷ ব্রাহ্মণদেরও কিছু দাবিদাওয়া রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী সহানুভূতির সঙ্গে সব বিবেচনা করবেন৷ সমাবেশের বার্তা তাঁকে সবিস্তারে জানাব৷’’ এ দিনের সভায় মূলত দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া ও দুই ২৪ পরগনা থেকে সনাতন ব্রাহ্মণদের জমায়েত হয়েছিল৷ ব্রাহ্মণ সমাজের উন্নয়নে নয় দফা দাবি সামনে রেখে গত কয়েক মাসে ট্রাস্টের সংগঠন গড়ে তোলার কাজে শ্রীধর মিশ্র, মধুসূদন মিশ্রদের নেতৃত্বে সারা রাজ্যজুড়েই পুরোহিতদের সংগঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল৷ দাবির মধ্যে যেমন পঞ্চম শ্রেণি থেকে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষার দাবি আছে, তেমনই প্রবীণ পুরোহিতদের মাসিক ভাতার দাবিও স্থান পেয়েছে৷ আছে পূজক ব্রাহ্মণদের জন্যও মাসিক ভাতার দাবি৷ ব্রাহ্মণদের জন্য কর্মসংস্থান, বাসগৃহ, পঞ্চায়েত ও পুর এলাকায় টোল নির্মাণের মতো দাবিও রয়েছে৷ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সব দাবিই মুখ্যমন্ত্রীর বিবেচনার জন্য তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছেন৷ উদ্যোক্তারা জানান, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয় ও আশ্রম, বৃদ্ধাবাস ইত্যাদি করার জন্য মেচেদায় তিন বিঘা জমি দিয়েছেন৷ মার্চে কলকাতার গান্ধীমূর্তির সামনে আরও বড়, অন্তত ৫০ হাজার ব্রাহ্মণ পুরোহিতের জমায়েত করা হবে৷’’
দক্ষিণেশ্বরে পুরোহিতদের মমতা ব্যানার্জীর শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে গেলেন তাঁর সরকারের মন্ত্রী
