শ্যামপুর থানার বারগ্রাম মুন্সিপাড়ায় ওসি সুমন দাস সহ পুলিশ কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগে গত ৮ই জানুয়ারী, সোমবার ভোরবেলা পুলিশ আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করল। এদিন ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার জগদীশপুর থেকে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা বাবর মুন্সি, বরহান মুন্সি, রমজান মুন্সি, ইব্রাহিম মুন্সি সহ মোট ৫ জনকে ধরেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতের ঘটনার পর মুন্সিপাড়া জনমানবশূন্য। যে যেখানে পেরেছে ঘরে তালা লাগিয়ে সপরিবারে পালিয়েছে। গ্রামে এখন পুলিশি টহল ছাড়া কিছুই নেই। এমনকী মহিলারাও বাড়িছাড়া।
ঘটনার দিনই পুলিশ মূল অভিযুক্ত মুন্সি মতিয়ার রহমান সহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। এই নিয়ে মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হল পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে জোর তল্লাসি জারি রয়েছে।
অন্যদিকে, চিকিৎসাধীন ওসি সুমন দাসের অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা ভালো বলে জানিয়েছে কলকাতার ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, সুমনবাবুর সিটি স্ক্যান করা হয়েছিল সোমবার। তাতে কোনও অবনতি লক্ষ্য করা যায়নি। চিকিৎসকদের আশা, তাঁর মস্তিষ্কে জমে থাকা রক্ত ধীরে ধীরে মিশে যাবে। তখন অবস্থার আরও উন্নতি হবে।